ইউসুফের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষীর জবানবন্দি রবিবার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের শেষ সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের সাক্ষী গ্রহণের জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
বুধবার এ মামলায় প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণের দিন নির্ধারিত ছিল। প্রসিকিউটর মো. জাহিদ ইমামের সহায়তায় প্রসিকিউশনের অপর সাক্ষী প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবির) ক্যাটালগার রবিউল আনাম খান (৫৬) তার জবানবন্দি পেশ করেন।
রবিউল ছিলেন সিজার লিস্টের দ্বিতীয় এবং প্রসিকিউশনের ২৫তম সাক্ষী। জবানবন্দি পেশ করার পরে তাকে জেরা করেন ইউসুফের আইনজীবী গাজী এইচ এম তামিম।
রবিউল আনাম তার জবানবন্দিতে বলেন, আমি রবিউল আনাম খান, বর্তমানে পিআইবির ক্যাটালগার হিসেবে কাজ করছি। আমার প্রতিষ্ঠানের গত ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসের ‘দৈনিক জনকন্ঠ’ এবং ২০০৮ সালের ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকার দুটির কপি জব্দ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আজ ওই দুই পত্রিকার জব্দ তালিকা উপস্থাপন করেছি। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম হলো ‘৭১ এ রাজাকারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একেএম ইউসুফ’।
জবানবন্দি পেশ করার পরে আইনজীবী গাজী এইচ এম তামিম জেরা করেন। জেরায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, আপনি যে পত্রিকার কাটিং উপস্থাপন করেছেন তার সংবাদ সত্য না মিথ্যা অর্থাৎ পত্রিকা দুটির সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা আছে।
জবাবে রবিউল আনাম বলেন, হ্যাঁ, পত্রিকার সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়ে কোনও ধারণা নেই।
জেরা শেষে মামলার কার্যক্রম আগামী রবিবার পর্যন্ত মূলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ইউসুফের বিরুদ্ধে আরও ২৪ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরাও শেষ করেন।
উল্লেখ্য, গতবছর ১ আগস্ট ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। জামায়াতের এই নেতাকে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ ৪ ধরনের ১৩টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার ৫টি, গণহত্যার ৭টি এবং অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ১টি অভিযোগ রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/জেএম/আরকে/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)