কবিরাজ নান্নুর মাথাও মিললো
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্টন এলাকার ট্রাফিক পুলিশের ব্যারাকের ছাদ থেকে উদ্ধার করা কবিরাজ আব্দুল জলিল নান্নুর (৩৬) মস্তক পাওয়া গেছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পুকুর থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুজ্জামান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ কনস্টেবল শওকত হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পুকুর থেকে মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।
নান্নুর আত্মীয় জয়নাল আবেদিন, নাজমুল ও নিহতের মেয়ে নাহিদা আক্তার টুম্পা বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে নান্নুর লাশ শনাক্ত করেন।
টুম্পা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, রবিবার রাতে বিএনপির গণসমাবেশ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন তিনি। মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে শওকত নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে যান পাওনা টাকা আদায়ের জন্য। সেখানে গেলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন টুম্পা।
নিহতের বোনজামাই জয়নাল আবেদিন দ্য রিপোর্টকে জানান, তিনি পেশায় একজন কবিরাজ ছিলেন। তিনি রবিবার ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল শওকতের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এরপর থেকেই জলিলের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে তিনি কোন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা তা জানি না।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে নান্নুকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।
ট্রাফিক ভবনের ছাদ থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় মস্তকবিহীন মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের পেটে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরনে ছিল নীল রঙের ট্রাউজার ও কালো গেঞ্জি।
(দ্য রিপোর্ট/এনইউডি/এমএআর/এনআই/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)