দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাণিজ্য মেলার ১৯তম আসরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হলো সুন্দরবন ইকো পার্ক। যা দর্শনার্থীদের মধ্যে এক ব্যতিক্রম আনন্দ সৃষ্টি করছে।

নিয়মিত মেলায় আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে সুন্দরবন ইকো পার্ক নিয়ে অন্যরকম আগ্রহ থাকে। যা একবার কাছ থেকে না দেখলেই নয়। এ ছাড়া পার্কটির সঙ্গে ছবি তোলার পালাতো থাকেই। বিস্তৃত পরিসরে না থাকলেও এখান থেকে মূল সুন্দরবন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করা যায়।

ইকো পার্কটিতে রয়েছে সুন্দরবনের ন্যায় কেওরা, সুন্দরী, গোলপাতা, শাসমূল ইত্যাদি গাছ। জীবিত সম্ভব না হওয়ায় হরিণ, বাঘ, কুমির, দোয়েল, বক, অজগর, বানর, বকসহ রয়েছে আরও নানা জাতীয় প্রাণির মূর্তি। আর জীবিত প্রাণির মধ্যে রয়েছে- হাঁস, খরগোশ, কচ্ছপ, মাছ, রাজহাঁস ইত্যাদি। এ ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে সুন্দরবনের খাঁটি মধু।

মেলায় এসে ইকো পার্ক ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন রফিক উল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী। যিনি তার স্ত্রী, এক সন্তানকে নিয়ে এসেছেন ও বিভিন্ন দিক থেকে ছবি তুলছিলেন। ইকো পার্ক সম্পর্কে তার অনুভূতি কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন ও সুন্দরবন ইকো পার্ক একইরকম বলা যেতে পারে।’ সুন্দরবন ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ‘সেখানে প্রাণী জীবিত এখানে মৃত, সেখানে বড় এখানে ছোট, সেখানে বেশি এখানে কম। এ ছাড়া কোনো পার্থক্য নেই।’

মেলায় ঘুরতে আসা ছোট শিশু রাসেল জানায়, ‘সুন্দরবন ইকো পার্ক দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এখানে অজগর সাপ দেখে আমি ভয় পেয়েছি। তবে গাছে গাছে বানরের ঝুলে থাকা দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি।’ এ ছাড়া কচ্ছপ ও খরগোশ ভালো লেগেছে তার।

সুন্দরবনের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে বাণিজ্য মেলায় ইকো পার্ক তৈরি করা হয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা। এ ছাড়া বিনোদন দেওয়াকেও গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান তিনি। আর এ পার্ক থেকে কোনো অর্থ না আসলেও দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে পারাটাকে স্বার্থক বা লাভ বলে জানান তিনি।

ডিজাইনার অ্যাডভারটাইজিং এর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ইকো পার্কটি। আর এর সঙ্গে প্রধান স্পন্সর হিসেবে সহায়তা করেছে বেসিক ব্যাংক।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এনডিএস/এনআই/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)