চট্টগ্রাম অফিস : জেলার আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলায় পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনায় দুই ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে একই সঙ্গে দণ্ডিত ধর্ষকদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন- আনোয়ারা সদর এলাকায় মাহবুব আলীর ছেলে মো. লোকমান (৩৫) ও বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে আমির হামজা (৪০)। তারা এখনও পলাতক।

দুটি মামলায় পৃথকভাবে দুজন আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় আদালত এ রায় দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলি চন্দন তালুকদার।

তিনি জানান, আদালত রায়ে দুই ধর্ষককে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি অর্থদণ্ডের টাকা তাদের কাছ থেকে আদায় করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদানের জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ত্রিশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি। আগের দিন মধ্যরাতে আনোয়ারা উপজেলা সদর এলাকায় একটি ভাড়া কলোনিতে বসবাসরত ওই নারী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাসা থেকে বের হলে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া লোকমান তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষে আনোয়ারা থানা পুলিশ ২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৫ জুন আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগপত্রে উল্লিখিত ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে মোট সাতজন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়।

বাঁশখালী থানায় অপর মামলাটি দায়ের হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১৭ আগস্ট। মামলার আসামি আমির হামজা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী এক তরুণীকে তার বাড়িতে এবং কক্সবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ মার্চ দু-দফা ধর্ষণ করেন।

মামলা দায়েরের পর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ১৯৯৯ সালের ১০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট পাঁচজন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এমএআর/ এনআই/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)