হলমার্ক মামলায় পলাতক ১৭ আসামি
গ্রেফতারি প্রতিবেদন দাখিল ২৬ ফেব্রুয়ারি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত হলমার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ১১টি মামলায় পলাতক ১৭ আসামির বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন ২৬ ফেব্রুয়ারি দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু ও আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর একই আদালত সকল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক ১৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ৭ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্তরা হলেন- হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. আব্দুল বাছির, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সেনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
বর্তমানে জামিনে আছেন তানভীর মাহমুদের স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম।
অভিযোগপত্রে মোট পনেরশ ৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। মামলায় সাক্ষি করা হয়েছে ৮০ জনকে।
গত ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় ১১টি মামলা করে দুদক।
(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এমএআর/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)