নেইমার প্রশ্নে বার্সা সভাপতি আদালতে যাচ্ছেন!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জটিলতা বেঁধেছিল আগেই। পক্ষ-বিপক্ষ আদালতের কথাও বলেছেন। স্যান্তোস থেকে বার্সায় বিনিময় চুক্তিতে নেইমারকে পেয়েছে। কথা উঠেছে তাকে দলভুক্ত করার ক্ষেত্রে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সেই কথাই অস্বীকার করেছেন বার্সেলোনার সভাপতি স্যান্ড্রো রোসেল। প্রয়োজনে তিনি আদালতেই তা প্রমাণ করবেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি বার্সার একজন সদস্য চুক্তির বৈধতা নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
নেইমারকে চলতি মৌসুমে ব্রাজিলের স্যান্তোস ক্লাব থেকে ৫ কোটি ৭১ লাখ ইউরোর বিনিময়ে দলভুক্ত করেছে বার্সেলোনা। চুক্তির শর্তাবলী গোপনীয় বলে সেই সময়ে তা প্রকাশ করা হয়নি। এতে ক্লাবের সদস্য জর্দি ক্যাসেস ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং আদালতে মামলা করেছে। নাইমার নিজেও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত। তবে সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি।
বার্সার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জর্দি মনে করেন ক্লাব সভাপতি রোসেল ক্ষমতার অপব্যবহার করার পাশাপাশি ক্লাবের অর্থের অপচয় করেছেন। রোসেল অবশ্য কোনো ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। বার্সেলোনা দাবি করেছে নেইমারের চুক্তি বাণিজ্যিকিকরণের কারণে কিছুটা জটিল হয়েছে। তবে তা মোটেও তহবিল তছরুপের ঘটনা নয় এবং তারা আইনগতভাবেই বিষয়টি মোকাবিলা করবে।
বার্সা সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি চুক্তির কয়েকটি পয়েন্ট নিয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমত চুক্তির অর্থের পরিমাণ ৫ কোটি ৭১ লাখ ইউরো। এটা আমি বহুবার বলেছি এবং এটা নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না। দ্বিতীয়ত বিচারকের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই আমি তাকে বিচারকার্য এগিয়ে নিতে অনুরোধ করছি। আমাকে ডাকার জন্য অনুরোধ করছি; যাতে আমি তার সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ পাই। কারণ এখানে গোপন করার কিছুই নেই। সবকিছুই আইনসম্মত এবং স্বচ্ছ। চুক্তিটির শর্তাবলী গোপন রাখা হয়েছিল উভয় পক্ষের সম্মতিতে।’
একটি স্প্যানিশ পত্রিকায় বলা হয়েছে বিভিন্ন কমিশন এবং ফি মিলিয়ে নেইমারকে দলে নিতে বার্সেলোনাকে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ইউরো। এতে নেইমার পরিণত হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড়ে। তার চেয়ে বেশি অর্থে বিক্রি হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের গ্যারেথ বেল। টটেনহ্যাম হটসপারের কাছ থেকে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে কিনেছে ১০ কোটি ইউরোর বিনিময়ে।
নেইমার নিজেও দাবি করেছেন তার ট্রান্সফার চুক্তিতে কোনো অনিয়ম হয়নি। বলেছেন, ‘আমি জানি আমার চুক্তি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমি এ নিয়ে আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি এবং জানতে চেয়েছি প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আমার বাবাও আছেন এবং আমি তাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করি। কোনো কিছুই বেআইনিভাবে করা হয়নি। কারও যদি কোন সন্দেহ থাকে তিনি আমার বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আর আমি কেবল মাঠে ফুটবল খেলা নিয়েই চিন্তা করি; অন্যকিছু নয়।’
নেইমারও যখন চুক্তি নিয়ে অনিয়মের কথা বলছেন না; সভাপতিও তাই। তারপরও বিষয়টি উসকে দিচ্ছেন একজন ক্লাব সদস্য। সঙ্গে আর্থিক অনিয়মের গন্ধ থাকায় মামলার বিষয়টি আমলে সরকারও। সেখানে চলছে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা। তবে অনিয়ময়-টনিয়মের ধুয়ো; যাই তোলা হোক। তার সবকিছুই উড়িয়ে দিয়ে বার্সার নেইমার ছুটছেন নিজ গতিতে; প্রমাণ করছেন কেন তাকে নিয়ে এতো গল্প। কেন তাকে মেসির পাশে রাখা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)