দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে দেশে ইউরিয়া সারের ঘাটতি হবে না। চলতি অর্থবছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চাষী পর্যায়ে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩১ টন। এছাড়াও বর্তমানে সরকারের কাছে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৭ টন ইউরিয়া মজুদ রয়েছে। বুধবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে আয়োজিত বৈঠক শেষে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

বৈঠকে শিল্প সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জি.এম. জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মুনসুর আলী সিকদারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, সার কারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে সার কারখানাগুলোর অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। এ ছাড়াও বিসিআইসি’র আওতাধীন কারখানাগুলোতে অপচয় ও অনিয়মরোধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি ।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিসিআইসি’র আওতাধীন বন্ধ কারখানাগুলো চালু করার জন্য বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে হবে। ঢাকা লেদার কোম্পানি লিমিটেডসহ সম্ভাবনাময় শিল্প কারখানাগুলো চালুর বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যৌথ মালিকানায় বন্ধ কারখানাগুলো চালুর প্রস্তাব দিলে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/ এআই/ডব্লিউএন/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)