বাংলাবান্ধায় তিন বছরেও চালু হয়নি ইমিগ্রেশন
পঞ্চগড় সংবাদদাতা : পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে তিন বছরেও চালু হয়নি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। ভারতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী যৌথভাবে তিন মাসের মধ্যে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এ স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হওয়ার তিন মাসের প্রতিশ্রুতি তিন বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি।
২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উভয় দেশের দুই মন্ত্রী যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছিল। এ উপলক্ষে বাংলাবান্ধার বিপরীতে ভারতের ফুলবাড়ীতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ভারতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর উপস্থিতিতে তিন মাসের মধ্যে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে মানুষ পারাপার (ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) চালু করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঘোষণার তিনটি বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি।
পঞ্চগড়ের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম শাহীন জানান, পঞ্চগড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাংলাবান্ধা ট্রানজিট পয়েন্টকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালু করা। যার মাধ্যমে পঞ্চগড়ের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। স্থানীয় বেকার কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন পঞ্চগড়ের সভাপতি মেহেদি হাসান খান বাবলা ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু জানান, ভৌগোলিক অবস্থান, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা কারণে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে বাংলাবান্ধার গুরুত্ব অনেক বেশি। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু করা হলে এ স্থলবন্দরটি বাংলাদেশের লাভজনক একটি স্থলবন্দর হিসেবে রূপ লাভ করবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল কায়সার মিন্টু জানান, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় নেপালের সঙ্গে আগের মতোই ব্যবসা বাণিজ্য চলবে। তবে ভুটানের সঙ্গে এখনও ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়নি। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানির পরিমাণ আরও অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
কাস্টমস, ভ্যাট এক্সাইজ পঞ্চগড় সার্কেলের সহকারী কমিশনার এসএম আরেফিন জাহেদী জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি অর্থবছরই রাজস্ব আদায় বাড়ছে। ভারত থেকে পণ্য আমদানির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি হবে। ইমিগ্রেশন চালু হলে দেশের অন্যান্য বন্দরের চেয়ে এই বন্দরের গুরুত্ব আরও অনেক বেড়ে যাবে।
(দ্য রিপোর্ট/এসআরএস/এএস/শাহ/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)