বিচারকের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ২ কর্মচারীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মোতাহার হোসেনের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মচারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় এবং শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। দুদকের উপ-পরিচালক হারুনূর রশীদ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
দুই কর্মচারী হলেন- দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর স্টেনোগ্রাফার মো. আবু হাসান ও ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর স্টেনোগ্রাফার মো. নুরুল ইসলাম।
দুদক জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনিদিষ্ট অভিযোগ চলতি মাসের শুরুতে কমিশনে আসে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের পর ২০ জানুয়ারি তার সম্পদের বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একই সঙ্গে দুদকের একজন কর্মকর্তাকে এ অনুসন্ধানের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। লন্ডনে তিনি বাড়ি কিনেছেন। সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে কিনেছেন দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া তার গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে ৫০ বিঘা কৃষি-অকৃষি জমি কিনেছেন তিনি।
২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। গত বছরের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ রায় দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। ওই সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/ এমডি/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)