বিমানের সাবেক ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাষ্ট্রের কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে বিমান বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি কমিশনের বৈঠকে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়েরকৃত দুই মামলার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চার্জশিট দুটি শিগগিরই আদালতে দাখিল করা হবে। দুদক সূত্র দ্য রিপোর্টকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিমান কর্মকর্তারা হলেন- বেতন শাখার সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (চাকরিচ্যুত) হারুন অর রশীদ, মো. গোলাম মোস্তফা, সাবেক ব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জিন্নাহ, আব্দুল মালেক, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদ, ক্যাশ ও ব্যাংকিং শাখার সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (চাকরিচ্যুত) এমএএসটি চৌধুরী, সাবেক অ্যাকাউন্ট অফিসার (অবসরপ্রাপ্ত) মীর আজিজুর রহমান ও সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (হিসাব) এমএ রব।
২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় পাঁচটি মামলা করেন। এর মধ্যে ১৩ ও ১৫ নম্বর মামলার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুই মামলার অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ ১ কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৩ টাকা। দণ্ডবিধি ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় ওই দুই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ ও ১৪ নম্বর মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ১৩টি জাল ভাউচার প্রস্তুতের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে মোট ৩ কোটি ২৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ১০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ ওই মামলাগুলোর অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এইচএসএম/আরকে/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)