কক্সবাজারে এক হাজার বিঘা জমি চায় রিহ্যাব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক হাজার বিঘা জমি চেয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব (রিয়েল স্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রিহ্যাব নেতারা এই দাবি জানান। রিহ্যাবের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, কক্সবাজার এলাকাকে আরও আকর্ষণীয় ও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে রিহ্যাব সদস্যরা যৌথভাবে ‘একটি অত্যাধুনিক অবকাশযাপন কেন্দ্র/স্যাটেলাইট সিটি’ নির্মাণ করতে আগ্রহী। এ জন্য রিহ্যাব সদস্যদের জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেন। তারা জানান, এটা হবে সেকেন্ড হোম হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্র।
গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকালীন সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভবনের নকশা অনুমোদনের দীর্ঘসূত্রিতা ও ভোগান্তি দূর করতে ‘ওয়ান উইন্ডো সেল’ গঠন, রাজউকের বিসি কমিটিতে রিহ্যাব প্রতিনিধির নাম সংযোজনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নীতিগতভাবে একমত হয়েছিল সবাই। এ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানায় রিহ্যাব নেতারা।
একই সঙ্গে তারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য উত্তরা সম্প্রসারিত প্রকল্প এলাকায় কমপক্ষে ২ বিঘা জমি বরাদ্দ এবং গৃহ নির্মাণ ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানান।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে এক হাজার বিঘা জমি দেওয়ার বিষয়টি আমরা ভেবে দেখব। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আশা করি, যে প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ পাবেন জমি সেই কাজে ব্যবহার করবেন।
আবাসন শিল্পে ঋণের সুদ কমানোর জন্য সবাই মিলে অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেওয়ার পরামর্শ দেন গৃহায়ণ মন্ত্রী।
ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবাসন ব্যবসায়ীদের নিয়ম মানার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফুটপাতের পাশে ভবন নির্মাণের জন্য ২০ ফুট জায়গা ছাড়ার কথা। কিন্তু দেশের কোথাও কেউ এটি মানছে বলে আমার জানা নেই।
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
রিহ্যাব প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাদল ও সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এইচএসএম/সা/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)