দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের সাক্ষাৎ চেয়েছেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক।

বর্তমান পাঁচ ও সাবেক দুই সংসদ সদস্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ইতোমধ্যেই অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এদের মধ্যে এমপি আসলামুল হকের নামও রয়েছে।

আসলামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করা হলেও তাকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়নি। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ২৭ জানুয়ারি কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনপত্রটি বৃহস্পতিবার দুদকে এসেছে। দুদক সূত্র এ সব তথ্য দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে।

এমপি আসলামুল হক ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মাকসুদা হক চার একর ১৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ জমির মালিক। তিনি এ সব জমির দাম দেখিয়েছিলেন ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা।

আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১ ডিসেম্বর ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, আসলামুল হক ও তার স্ত্রী এখন ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর (১৪ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ) জমির মালিক। জমির দাম উল্লেখ করা হয়েছে, এক কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা।

দুই হলফনামা থেকে দেখা যায়, পাঁচ বছরে স্বামী-স্ত্রীর জমি বেড়েছে ১৪০ একরের বেশি। আর বাড়তি এই জমির মূল্য দেখিয়েছেন এক কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা অবিশ্বাস্য।

পাঁচ বছরে আসলামুল হকের শুধু সম্পদই বাড়েনি, বেড়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতাও। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ছিলেন অষ্টম শ্রেণী পাস। আর এখন তিনি বিবিএতে (স্নাতক ব্যবসায় প্রশাসন) অধ্যয়নরত।

এমপি আসলামুল হকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপ-পরিচালক শেখ ফাইয়াজ আলম।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)