দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সংসদে ১৫৩ জন বিনা ভোটের ‘ফাও’ এমপি থাকার কারণে সরকারের লোকজন আগামী পাঁচবছরে কোন সংলাপ ও নির্বাচন হবে না বলে আস্ফালন করছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. আসাদুজ্জামান রিপন।

রিপন বলেন, ‘ফাও’ সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সরকারের অনেক মন্ত্রীও ‘ফাও’। এ জন্য তারা সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করে বলছেন দেশে ৫ বছর পরে নির্বাচন হবে। ‘তথাকথিত’ সরকারের দায়িত্বশীলদের এমন বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থি।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির সংলাপের আহ্বানে সরকার সাড়া দেবে বলে আমরা আশা করি।

ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘যে নির্বাচনে ৫ ভাগও ভোট পড়েনি, সেখানে সরকারে কীভাবে নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার বলে দাবি করে।’

সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন ‘এ সরকার পাঁচ বছরের জন্য। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাঁচ বছর পরে নির্বাচন হবে। এ মুহূর্তে মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবার কোনো সময় নেই।’

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সরকারের মনে করা উচিত তারা ভোট বর্জনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাই দেশের নাগরিক সমাজ ও বিশ্ব বিবেকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।’

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠান যেভাবে দলীয়করণ করছে, তাতে ন্যায় বিচার পাওয়া অসম্ভব। বিরোধী মত দমনে সরকার আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের জামিন নামঞ্জুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের এ সিদ্ধান্তে বিএনপি বিস্মিত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তোফা, ময়মনসিংহ জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/টিএস-এমএইচ/জেএম/আরকে/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)