দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছে। এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে। এ সরকার বৈধতা হারিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে। দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। অচিরেই এদের বিদায় নিতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন। রাত ৮টা ৪০ থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা মনোবল হারাবেন না। দেশের অধিকাংশ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। নির্বাচনে শতকরা ৫ভাগ লোকও ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। কিন্তু সরকার এখন পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছে। তারা মানুষের শান্তি চায় না, ক্ষমতা চায়। দেশে এখন অঘোষিত বাকশাল কায়েম হয়েছে। কারোর কোনো অধিকার নেই।

তিনি বলেন, যৌথবাহিনী দিয়ে মানুষ হত্যা ও গুম করছে। গ্রাম এলাকায় যৌথবাহিনীর অত্যাচারে মানুষ গ্রামছাড়া। এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

তিনি বলেন, আমি হতাশ নই। শীত কমলে সারাদেশ সফর করব। ২৯ জানুয়ারি সবাইকে সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল সফল করার আহ্বান জানান।

গণতন্ত্র, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার রক্ষা ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক ও চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্বশীল ও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। যাতে করে দেশের সাধারণ জনগণ এই অত্যাচারী সরকারের প্রতি তাদের হারানো আত্মপ্রত্যয় ফিরে পায়।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত এক চিকিৎসক দ্য রিপোর্টকে বলেন, নেত্রীর কাছে আমাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলেছি। তিনি মনোযোগ দিয়ে আমাদের কথাবার্তা শোনেন এবং আগামীতে ক্ষমতায় আসলে তা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হবে।

এ সময় চিকিৎসকরা আওয়ামী সরকারের শাসনামলে সারাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার দূরবস্থা নিয়ে একটি সার্বিকচিত্রের প্রতিবেদন খালেদা জিয়ার কাছে তুলে দেন।

চিকিৎসক সূত্র জানায়, আমরা বিএনপি নেতৃত্বাধীন চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার পাশাপাশি আগামীদিনেও সম্পৃক্ত থাকবো বলে প্রতিশ্রুতি দেই। ২৯ জানুয়ারি কালোপতাকা মিছিল সফল করতে চিকিৎকরা কাজ করবে বলেও জানা যায়।

ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সভাপতি প্রফেসর ড. একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রফেসর ড. এম এ মজিদ, প্রফেসর ড. এবিএম ভূইয়া, প্রফেসর মাযহারুল ইসলাম দোলন, প্রফেসর ড. আব্দুল মবিন খান, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. এজেডএম মাইদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. খাদিজা খাতুন, প্রফেসর ড. ফিরোজা খাতুন, প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মাঈনুল হাসান সাদিক, প্রফেসর মান্নান মিয়া, প্রফেসর ড. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. গাজী আব্দুল হক, প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক, প্রফেসর ড. ফিরোজা খাতুন, প্রফেসর ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর, প্রফেসর ড. আজিজ রহিম, প্রফেসর ড. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. গোলাম মাঈনুদ্দিন, প্রফেসর ড. এসএম রায়হান, প্রফেসর ড. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর ড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. হায়দার আলী, প্রফেসর ড. সেলিম সরকার, প্রফেসর ড. মেজবাহ উদ্দিন, প্রফেসর ড. সেলিনা বেগম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/টিএস-এমএইচ/এপি/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)