জাবিতে ছাত্রলীগ নেতার হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগ নেতা মামুন খানের বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নিচতলায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সামনে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও লাঞ্ছিত শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র মামুন খান গত বছরের স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় জোরপূর্বক অংশগ্রহণের জন্য বিকেলে নিজ বিভাগে এসে বিভাগীয় সভাপতিকে চাপ দেন তিনি। এ সময় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানালে অধ্যাপক ড. গোলাম মঈনুদ্দিনকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেন মামুন। পরে ড. গোলাম মঈনুদ্দিন তার সহকর্মী ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দু’জন শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ও অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ রাফিউল হককে জানালে মামুন সেখানে গিয়ে পিস্তল উচিয়ে সবাইকে একসঙ্গে গুলি করে মারার হুমকি দেন। একপর্যায়ে মামুন অধ্যাপক ড. গোলাম মঈনুদ্দিনকে ধাক্কা দিলে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত পেয়ে তার মাথা ফেটে যায়।
এরপর অন্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মামুন পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে লাঞ্চিত শিক্ষক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার কথা বলায় মামুন আমাকে মারধর করে এবং গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমএ মতিন ও প্রক্টর বরাবর আবেদনপত্র জমাও দিয়েছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
এদিকে এ ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মামুন খান। তিনি বলেন, ‘আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না। শিক্ষক রাজনীতির বলি করতে এখানে আমাকে জড়ানো হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগপত্র পাওয়ার পর ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের জরুরি সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে তা যথাযথভাবে পালন করা হবে।’ রাতই ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)