রাজবাড়ী সংবাদদাতা : রাজবাড়ী জেলার চরমপন্থী জামান বাহিনীর কমান্ডার আলী জামানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনাকারী দল। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের ওই বিশেষ অভিযান পরিচালনাকারী দল শুক্রবার প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানায়, রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানাধীন বলাডাঙ্গা কারিকরপাড়ার মান্নান মল্লিকের বসতঘরে জোরপূর্বক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উদ্দেশে অস্ত্রসহ অবস্থান করছিল।

র‌্যাব জানায় পূর্ব থেকে প্রাপ্ত সংবাদেরভিত্তিতে তাদের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনাকারী দল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে বাড়ির কাছে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা পালানের চেষ্টা করলে র‌্যাবের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে একজনকে আটক করে এবং বাকি সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
আটক সন্ত্রাসীর নাম আলী জামান (৪০)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বলাডাঙ্গা কারিকরপাড়ার মৃত আজাহার মণ্ডলের ছেলে।

আলী জামানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার পাংশা থানার বলাডাঙ্গা কারিকরপাড়ার মান্নান মল্লিক এবং পলাতক আসামি মফিজ উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে ১টি দেশে তৈরি একনলা বন্দুক, ৪টি ওয়ান শুটারগান, ৯ রাউন্ড গুলি, ১৩টি শটগানের কার্তুজের খোসা, ১টি রামদা ও ১টি ছুরি উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

পাংশা থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের এসআই রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেছেন।

পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীরা হল- ঠাকুরপাড়া এলাকার মৃত একোর ছেলে মনো (৩০), বাগডোর এলাকার আইয়ুব ওরফে টাইগারের ছেলে কেটাই (৩০), আকবার ওরফে রুবেল (৩৫), ডাঙ্গা কারিকরপাড়া এলাকার মফিজ (৩৫)।

আটক সন্ত্রাসী আলী জামানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, সে এবং তার পলাতক সহযোগীরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং ভাড়াটে খুনী।

এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে তদন্ত করেও জানা যায়, আটক ও পলাতক সন্ত্রাসীরা ভাড়াটে খুনি। টাকার বিনিময়ে হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে থাকে তারা। আলী জামান বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ সব সময় আতঙ্কে থাকে। গ্রেফতারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

(দ্য রিপোর্ট/টিএম/এমএ/এএস/সা/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)