দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শাল-মহুয়ার বনে জোনাকির জ্বলা-নেভা না দেখলেও জোনাকি পোকা অনেকেই দেখেছেন। অন্ধকারে চমৎকার জ্বলা-নেভার খেলা দেখায় খুদে এ প্রতঙ্গটি। জোনাকির মতো স্থলের অনেক প্রাণী আছে যারা শরীর থেকে আলো উৎপন্ন করতে পারে। এ সব প্রাণীর তালিকায় আছে বিভিন্ন কীট-পতঙ্গ।

সমুদ্রের আলো-জ্বলা প্রাণীর সঙ্গে স্থলের আলো-জ্বলা প্রাণীর অবশ্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। সমুদ্রের প্রাণীরা নীল রংয়ের আলো উৎপন্ন করলেও স্থলের আলো জ্বলা প্রাণীরা সাধারণত সবুজ আলো উৎপন্ন করে।

জোনাকি

পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত আলো-জ্বালানো প্রাণীটির নাম জোনাকি। জোনাকির প্রায় দুই হাজার প্রজাতি আছে। জোনাকির ইংরেজি নাম ফায়ারফ্লাই অর্থাৎ আগুন জ্বলা মাছি। তবে জোনাকি কিন্তু মোটেও মাছি নয়। পাখাওয়ালা পতঙ্গ।

আলো-জ্বলা কেঁচো

কেঁচোর এক ধরনের প্রজাতি তাদের শরীর থেকে উৎপন্ন করতে পারে আলো। জোনাকি পোকার মতো লুসিফেরিনের উপস্থিতিই তাদের শরীর থেকে আলো উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। অবশ্য জোনাকির আলো একটানা না জ্বললেও এই কীটটির শরীরের আলো সব সময়ই জ্বলতে থাকে। এটি ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে এদের দেখা মেলে।

আলো-জ্বলা শামুক

স্থলের একমাত্র আলো জ্বালানো শামুক ডিয়াকিয়া স্ট্রিয়াটা। সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়ায় তাদের দেখা মেলে। এই শামুকের ডিম ও সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাও অন্ধকারে জ্বলতে থাকে। অবশ্য পরিণত শামুক সব সময় জ্বলে না।

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এমডি/সা/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)