দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নতুন প্রস্তাব নিয়ে রীতিমতো উৎকন্ঠায় বাকি টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো। আগামী ২৮-২৯ জানুয়ারি দুবাইয়ে আইসিসির সভায় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নতুন এ প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদন হলে ক্রিকেট বিশ্বে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হবে। ইতোমধ্যেই চারটি দেশ বিরোধিতা করেছে নতুন এ প্রস্তাবের। এ প্রস্তাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। অথচ তারাই কিনা এখনো নিশ্চুপ! যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, অবস্থা বুঝেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের অনুকূলে দেয়া নতুন প্রস্তাবে দশটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে সর্বনিম্ন থাকা দুই দলকে খেলতে হবে আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েই মূল পর্বে টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন দল। যার ফলে ক্ষতির তালিকায় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। অথচ গেলো কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে। হঠাৎ আইসিসির এমন পরিবর্তন দেশের ক্রিকেটকে সংকটময় অবস্থানে নিয়ে যাবে। আগামী ২৭ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে মাঠে নামবে মুশফিকরা। কিন্তু তাদের মনোযোগ কি খেলার মাঠে থাকবে এমন প্রশ্ন ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে উকি দিচ্ছে।

শুধু ক্রিকেট ভক্ত নয়, ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিরাও আইসিসির এ প্রস্তাবে অসন্তুষ্ট। বিসিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, ‘আইসিসির তিন দেশ নতুন যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটা মূলত তাদের সুনির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্যের কারণে দিয়েছে। এ প্রস্তাব যদি পাস হয় তবে ক্রিকেটের অপমৃত্যু ঘটবে বলে মত প্রকাশ করেন এ বোর্ড পরিচালক। তিনি আরো বলেন, তারা এখনো সুনির্দিষ্ট ভাবে বিষয়গুলো পরিষ্কার করেনি আমাদের কাছে, এ বিষয়টাতে এখনো আমরা অন্ধকারেই আছি। ’

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘ভাই আইসিসির বিষয়টা শুনে খুব মন খারাপ। আমরা সবাই ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এক সাড়িতে মিলিত হই। যদি আইসিসির নতুন এ নিয়ম পাস হয় তবে দেশের মাঠি থেকে ক্রিকেট হারিয়ে যাবে। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি বিসিবিকে বলবো আইসিসির সভায় কোন মতেই যেনো তিন দেশ সমর্থন দেওয়া না হয়।’ ইউসিবি ব্যাংকের কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘ আমাদের ব্যাংক ক্রিকেটের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক, আমরা গত দুই সিরিজ ধরে টিকেট বিক্রির স্বত্ব বিসিবি থেকে কিনে নিয়েছি। ক্রিকেট ভক্তদের উন্মাদনা দেখে খুব ভালো লাগে। ব্যাংক কর্তকর্তা হওয়ায় টিকেট প্রত্যাশীদের চাপ থাকে। তারপরও বলবো সিরিজ চলাকালে এ ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’

(দ্য রিপোর্ট/রই/আসো/ওইচ/এনআই/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)