ট্রাফিক ভবনের ছাদে মস্তকবিহীন লাশ
হত্যার পর ছোরা রাখা হয় ট্রাংকে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর ট্রাফিক ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার করা মস্তকবিহীন লাশের মস্তকের পর এবার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাও উদ্ধার করা হয়েছে। ছোরাটি শুক্রবার সকাল ১১টায় পুলিশ কনস্টেবল শওকতের ট্রাংক থেকে উদ্ধার করা হয়।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুজ্জামান দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের শিকার ‘কথিত’ কবিরাজ নান্নুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
আশরাফুজ্জামান জানান, ট্রাফিক ভবনে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার বর্তমান সময়ে আলোচিত ঘটনা। পুলিশের সংরক্ষিত এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের পর স্বল্প সময়ে রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা পুলিশের জন্য বড় ধরনের সাফল্য। বিশেষ করে লাশের মস্তক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা ছিল মামলার তদন্তের প্রধান প্রমাণ।
ঘটনার পরের দিন বুধবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পুকুর থেকে মস্তক উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার সকাল ১১টায় ট্রাফিক ভবনের ব্যারাকে শওকতের ট্রাংক থেকে ছোরাটি উদ্ধার করা হয়।
ডিসি আশরাফুজ্জামান আরও জানান, ছোরার বিষয়ে শওকত এর আগে রাজারবাগ পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছিল। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, হত্যার পর ছোরাটি তার ট্রাংকে রাখে।
এ ঘটনায় আপাতত আর কেউ জড়িত নয় বলেও জানিয়েছে শওকত। রিমান্ডের এক দিন অতিবাহিত হয়েছে।
আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনার তদন্তের প্রাথমিক পর্যায় শেষ হয়েছে। সকল রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে শওকতকে আদালতে পাঠানো হবে।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ লাইন হাসপাতালের ওপর থেকে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ ভবনের ছাদে পানির ট্যাংক ঘেঁষে একজনকে চিৎ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাদে গিয়ে মস্তকহীন একটি লাশ দেখতে পায়। লাশের পেট ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পরে জানা যায়, নিহত কবিরাজ নান্নু মুন্সি। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছায়।
(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এমএআর/ এনআই/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)