লক্ষ্মীপুর সংবাদাতা : বাল্য বিয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আরজু রহমান শুক্রবার বিকেলে এ রায় প্রদান করেন।

অর্থদণ্ডপ্রপ্তরা হলেন- কনের বাবা আব্দুল মতিন, মা মারজাহান বেগম ও কাজীর সহকারী আনোয়ার হোসেন। তাদের প্রত্যেকের এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আদিলপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ১৫ বছরের মেয়ে শিমু আক্তারের সঙ্গে পৌরসভার উত্তর মজুপুর গ্রামের আবু তাহেরের পুত্রের আগেই বিয়ে হয়। এ উপলক্ষে কনের বাড়িতে শুক্রবার বৌ-ভাতের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন কাজলকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হন। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় পরে কনে এবং তার পক্ষের লোকজনকে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের অর্থদণ্ড করে জরিমানা আদায় করা হয়।

শিমু গৈরীনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আরজু রহমান জানান, আগেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কনের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বয়স ১৫ বছর হওয়ায় বাবা-মাকে এবং বিয়ে পড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাজীর সহকারীকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। বরপক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএনইউ/এমএআর/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)