ফরিদপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৫, আহত ৩০
ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার সেনখালীতে শনিবার বিকেলে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের দুই চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
এ ছাড়া বোয়ালমারী উপজেলায় অটোরিকশায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান নাসরিন আক্তার নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী।
দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- বাসচালক তসলিম (৪০), যাত্রী সিতাব (৪২) ও বজলুর রহমান (৭৫)। নিহত অপর বাসচালকের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ফরিদপুরের বিশ্বজাকের মঞ্জিলগামী অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসের দুই চালক।
পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিতাব ও বজলুর রহমান মারা যান। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় কলেজ থেকে ফেরার পথে কাদিরদী ডিগ্রি কলেজের নাসরিন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী অটোরিকশায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নাসরিন অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কলেজ থেকে ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া সড়কের কাদিরদী দাখিল মাদ্রাসার সামনে শনিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নাসরিন মধুখালী উপজেলার জাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রূপসা গ্রামে।
(দ্য রিপোর্ট/এসএইচ/এমএইচও/এমএআর/জানুয়ারি ২৫, ২০১৪)