রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা : রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার রামহরি পাড়ায় ২৪ জানুয়ারি উপজাতীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সন্তোষ চাকমা ওরফে হিমেল (২৮) শনিবার মারা গেছেন। হিমেল শান্তিচুক্তিবিরোধী গ্রুপ ইউপিডিএফের সদস্য ছিলেন।

ওই ঘটনায় পার্বত্য শান্তিচুক্তি পক্ষের গ্রুপ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ।

২৪ জানুয়ারি উপজাতীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন জীবন্ত চাকমা (৪৫) ও সন্তোষ চাকমা (২৮)। তাদের পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে শনিবার রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এক বিবৃতিতে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র হামলার ওই ঘটনা ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষিত বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ঊষাতন তালুকদার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রসীরা বেপোরোয়া হয়ে ইউপিডিএফের কর্মী, সমর্থক ও নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে।

ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

তবে বরাবরের মতোই ওই ঘটনায় জেএসএস জড়িত নয় বলে জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।

এর আগে, ২০০৩ সালের ১৫ মে ঘিলাছড়ি এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে সন্তোষ চাকমার বড় ভাই লেন্দুচান চাকমা (বিপ্লব) নিহত হন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এমএআর/শাহ/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)