পদ্মভূষণ পাচ্ছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘পদ্মভূষণ’ এর জন্য মনোনীত করেছে দেশটির সরকার।
ভারত সরকারের শনিবারের প্রকাশিত এক তথ্য বিবরণীতে এ বছর পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস রবিবার। এ উপলক্ষে পদকপ্রাপ্তদের এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘পদ্মবিভূষণ’ পেয়েছেন দুজন, ‘পদ্মভূষণ’ ২৪ জন এবং ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছেন ১০১ জন।
আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলে নির্বাচিতদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে বলেও তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছাড়াও বিদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন এবার পদ্মভূষণ পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্পকলা, ক্রীড়া, সমাজকল্যাণ ও জনকল্যাণমূলক কাজ, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, শিল্প-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি পদ্মভূষণ পদক দিয়ে থাকেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপকআনিসুজ্জামান এর আগেও দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পদক ও পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬), দাউদ পুরস্কার (১৯৬৫), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭০), একুশে পদক (১৯৮৫), আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৩), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি.লিট (২০০৫)।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি পিএইচডি করেন। তার পিএইচডির অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল ‘ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারা (১৭৫৭-১৯১৮)।’
১৯৬৪ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল ফেলো হিসেবে বৃত্তি পান। ১৯৬৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। তরুণ বয়সে তিনি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। এ ছাড়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত গণআদালতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএআর/শাহ/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)