ঝিনাইদহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জামায়াত নেতা নিহত
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : যৌথবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক মাস্টার এনামুল হক (৪৫) নিহত হয়েছেন।
উপজেলার নওদাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে রবিবার ভোররাত ৩টার দিকে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বন্দুকযুদ্ধে এসআই মিজানুর রহমান, এএসআই মুক্তার হোসেন ও কনস্টেবল জয়দেব আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান ও দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে ৩০ রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এনামুলকে শনিবার বিকেলে আটক করার পর হত্যা করা হয়েছে।
এনামুল হক উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক বিশ্বাসের ছেলে ও বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি শাহাজান খান জানান, একদল সন্ত্রাসী গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর একটি দল অভিযানে বের হয়। রাত ২টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের নওদাগাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ১০ রাউন্ড গুলি ও তিনটি বোমা ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় যৌথবাহিনীর গুলিতে এনামুল নিহত হয়। সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমায় আহত হন এসআই মিজানুর রহমান, এএসআই মুক্তার হোসেন ও কনস্টেবল জয়দেব।
নিহত এনামুল হকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মুয়াবিয়া হোসেনের পক্ষে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাকে আটক করা হয়। এরপর রাতের কোনো এক সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/টিএম/এমএআর/শাহ/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)