দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মিসরে বিপ্লবের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

তবে বেসরকারি হিসাব মতে নিহতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। নিহতদের বেশিরভাগই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থক।

২০১১ সালের বিপ্লব বার্ষিকীতে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকরা দেশজুড়ে অসংখ্য বিক্ষাভ সমাবেশের আয়োজন করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করতে গেলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।

রাজধানী কায়রো, মিনিয়া, গিজা, আলেকজান্দ্রিয়াসহ আরও কয়েকটি প্রদেশে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

মুসলিম ব্রাদারহুড এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের ৫০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন।

এর আগে শুক্রবারও নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে আরও ১৮ জন নিহত হয় বলে জানা যায়

এ দিকে শনিবার ক্ষমতাসীন সেনা সরকারের সমর্থকরা কায়রোর তাহরির স্কয়ারে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারির গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি একবারও উচ্চারণ করেননি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি এক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হয়। এরপর থেকেই মিসরের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সূচনা হয়।



২০১২ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশটির সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হন। কিন্তু এর মাত্র এক বছর পর ২০১৩ সালের জুলাই মাসের শুরুতে এক সেনা অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

ইসলামপন্থী মুরসির বিরুদ্ধে দেশ পরিচালনায় ব্যার্থতার অভিযোগ করেন দেশটির সেক্যুলার রাজনৈতিক দলগুলো। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/ এমডি/এএল/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)