দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেষ হয়েছে আখেরি মোনাজাত। এখন ঘরে ফেরার পালা। দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে মোনাজাত শেষ হওয়ার পর পরই বিশ্ব ইজতেমা প্রাঙ্গণ ছাড়তে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।

এরই মধ্যে বিশ্ব ইজতেমাস্থল টঙ্গীর আশপাশের এলাকার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে হেঁটে ইজতেমাস্থল ছাড়ছেন।

এর আগে ৪৯তম বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন ৩০ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান। শুক্রবার শুরু হওয়া এই ইজতেমায় রাত-দিন আল্লাহর এবাদতে মশগুল ছিলেন মুসল্লিরা। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। চলে ১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত। মোনাজাতে দুই হাত ঊর্ধ্বমুখী করে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া লাখ লাখ মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে ইজতেমা ময়দান প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

১৬০ একর ইজতেমা ময়দান পেরিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, আশপাশের রাস্তাসহ কয়েক কিলোমিটারজুড়ে মানুষের ঢল নামে। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে আবার অনেকে বাসাবাড়ির ছাদে শামিয়ানা টানিয়ে মোনাজাতে শরিক হন। বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি মোনাজাত সম্প্রচারের ফলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ মোনাজাতে শরিক হন এবং আমিন আমিন ধ্বনি তোলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ইজতেমার মূল বয়ানমঞ্চে বসে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসভবনে বসে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া টঙ্গীতে এটলাস বাংলাদেশের ছাদে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। এ ছাড়াও ১৩ নম্বর গেট এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/ইইউ/শাহ/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)