আইসিসিকে ধুয়ে ফেলেছেন সাবেক সভাপতি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আইসিসির সভাপতি পদে যারা সুনাম এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন; তাদের মধ্যে পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক এহসান মানি অন্যতম। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আইসিসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিশেষ অর্থ সহায়তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পেশাদার বোর্ড ম্যানেজমেন্ট শুরু করেছে। এমনকি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপের স্বাগতিক হতে পেরেছে, সেখানেও তার অবদান অসামান্য। আইসিসির ফিন্যান্স অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রস্তাবে টেস্ট ক্রিকেট ২ ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ‘বিগ থ্রি’ ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের প্ররোচনায় এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যখন বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা, তখন আইসিসি’র ওপর এক হাত নিয়েছেন এই পরীক্ষিত ক্রিকেট সংগঠক। আইসিসি’র পর্ষদকে ভীষণ দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেট সংস্কারের নামে ২১ পৃষ্ঠার যে সংস্কার প্রস্তাব গত ৯ জানুয়ারি আইসিসি’র সভায় উত্থাপিত হয়েছে, আগামী ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি অনুমোদনের অপেক্ষায় তা। ওই সংস্কার প্রস্তাবের বিস্তারিত পড়ে এহসান মানি নিজে ১৩ পৃষ্ঠার বিকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছে আইসিসিতে। নিজেদের আর্থিক লাভের কথা বিবেচনা করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড এ পথকে বেছে নেওয়ায় ভীষণ ক্ষুদ্ধ এহসান মানি তার লিথিত পত্রে বলেছেন, ‘এই কাগজ যারা তৈরি করেছে, তাদের অবশ্যই তা প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ কোনো প্যানেলকে দিয়ে তা পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো উচিৎ। এখানে বিসিসিআই, ইসিবি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোনো অংশ হওয়ার সুযোগ নেই।
আইসিসি’র ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির এই কাগজ তৈরির সঙ্গে আইসিসি’র পরিচালনা পরিষদ, সভাপতি, সিইও’র কোনো ধারণা কিংবা ভূমিকা নেই। এই ৩টি বোর্ড আইসিসি’র অবস্থান এবং সততাকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো রকম সুনির্দিষ্ট আলোচনা ছাড়াই নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছে। অতীতে আইসিসি’র বোর্ডরুমে এ ধরনের কোনো আচরণের কথা শুনিনি।’
সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানদের স্বার্থ, তাদের বিপণন এবং আর্থিক সুবিধার কথা ভেবে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। আইসিসি’র কমার্শিয়াল রাইটস বিক্রি থেকে বড় অর্থের পেছনে অবদান ভারতের, তা মেনে এহসান মানির বিশ্লেষণ, ‘ভারত যদি অংশ না নেয় তা হলে আইসিসি’র আয় ৮০ শতাংশ হ্রাস পাবে। ভারতীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলো তাই এখনও আইসিসি’র ইভেন্টগুলো সম্প্রচারে আগ্রহী। তবে যদি পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ আইসিসির ইভেন্টে বিশেষ করে বিশ্বকাপে অংশ না নেয় তা হলে আইসিসির রাজস্ব হ্রাস পাবে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।’
(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/সা/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)