কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জ শহরের সোনালী ব্যাংকের রথখোলা শাখা থেকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্যাংকে চুরির ঘটনা ধরা পড়ে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, চোরেরা সুড়ঙ্গপথে এসে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১২ কোটি টাকা নিয়ে গেছে।
পুলিশ বলছে, শুক্র অথবা শনিবার রাতে সুড়ঙ্গপথে এসে চোরেরা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

পুলিশ ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ক্যাশ কর্মকর্তা মোহসিনুল হক টাকার প্রয়োজনে ব্যাংকের ভল্টে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে মেঝেতে সুড়ঙ্গ দেখে তিনি বিষয়টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানান। তাৎক্ষণিক তদন্ত করে পুলিশ ব্যাংকের পাশে একটি ভাড়া বাড়ির ঘরের ভেতর সুড়ঙ্গের আরেক প্রান্তের খোঁজ পান।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহানশাহ জানান, ওই ঘরে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।ওই বাড়ির আরেক ঘরে মার্জিয়া আক্তার নামের এক নারী তাঁর দুই মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকেন। ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, সুড়ঙ্গপথটি তৈরি করতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লেগেছে। শুক্র অথবা শনিবার রাতের কোনো এক সময় চোরেরা ওই সুড়ঙ্গপথে ভল্টে ঢোকে এবং টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের ভল্টে কয়েকটি সিন্দুক ও আলমারি আছে। তবে এসব ভেঙে টাকা চুরি হয়নি। ভল্টের ভেতরে ও বাইরে রাখা টাকা চুরি হয়েছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হুমায়ূন কবীর ভুইঞা জানান, ভল্ট থেকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা চুরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই বাড়ি থেকে ব্যাংকটির দূরত্ব প্রায় ১০০ ফুট।

ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক শেখ মো. আমানুল্লাহ বলেন, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রাতে থানায় মামলা করা হবে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, এটি একটি দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা। ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবাই তাঁদের নজরে আছেন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক হাবিলদার ও এক নায়েকসহ ৬ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞদল আনা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/ওএসআর/এপি/ এনআই/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)