যশোর সংবাদদাতা : যশোরের অভয়নগর উপজেলার মাগুরা বাজারে চৈতন্য মণ্ডল নামে এক পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে ও বোমা মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে তার ওষুধের দোকানটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, ৪-৫ মাস আগে অভয়নগর উপজেলার ত্রাস মেজবাহ ডাকাত পল্লী চিকিৎসক চৈতন্য মণ্ডলের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় চৈতন্য ও তার ভাই কার্তিককে কুপিয়ে জখম করে। এ ছাড়া তার বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা চৈতন্যের বাড়ি পরিদর্শন করে। এ সময় তারা মেজবাহ ডাকাতকে আটকে পুরস্কার ঘোষণা করে।

এর কিছুদিন পর মেজবাহ ডাকাতের ভাই খুন হলে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। এরপর আবারও চৈতন্যের কাছে চাঁদা দাবি করেন মেজবাহ। চাঁদার টাকা না পেয়ে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দলবল নিয়ে মাগুরা বাজারে চৈতন্যের ওষুধের দোকানে হামলা চালায় মেজবাহ ডাকাত। এ সময় তারা চৈতন্যকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান চৈতন্য। পরে তার ওষুধের দোকান আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আমি কখনো দেখিনি। দুর্বৃত্তরা প্রথমে চৈতন্য মণ্ডলকে কুপিয়ে মাথার মগজ বের করে দেয়। তারা চৈতন্যের একটি হাতও কেটে নেয়। এরপর তারা লাশের গায়ে বোমা মেরে তাকে ক্ষত-বিক্ষত করে।’

দ্রুত হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তারা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এনডিএস/ এনআই/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)