দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এক নারীকে কেন্দ্র করে রামপুরায় গোলাগুলির ঘটনায় মডেল পল্লবসহ ১১ জনকে আটকের পর ৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে রামপুরার কুঞ্জবন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মডেল পল্লব ব্যবসায়িক কাজে আলোচনার জন্য ডিজিটাল কামালের কাছে এসেছিল। গোলাগুলির সঙ্গে পল্লবের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার দুপুরে পল্লবসহ পাঁচ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয়জনকে রামপুরা থানায় আটক রাখা হয়।

রামপুরা থানার অপরেশন অফিসার জামাল জানান, বনশ্রীর কেন্ট রেঁস্তোরার সামনে এক মেয়েকে দুইজন স্ত্রী দাবি করা নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা নিজেদের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় করে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থলে একটি সাদা এবং একটি খয়েরি রঙের মাইক্রোবাস ছিল বলে কেন্টের দারোয়ান জানান। ঐ দুই গাড়ির লোকদের সঙ্গেই একজন নারীকে নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং তারা সকলেই মদ্যপ ছিল। তাদের গ্রেফতারের সময় ডিজিটাল কামালের অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয় বলেও জানান এসআই জামাল। তারা এসময় ২০ রাউন্ডের মত গুলি করে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালা দ্য রিপোর্টকে জানান- এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খায়েরসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া থানায় আটক রয়েছেন কামাল ওরফে ডিজিটাল কামাল, ফরিদ উদ্দীন, ইসমাইল, লিটন মাতব্বর ও টাইলস মিস্ত্রী বাদল এবং জনি।

এই ঘটনায় আটক টাইলস মিস্ত্রী বাদলের স্ত্রী নিপা দ্য রিপোর্ট কে জানান, তার স্বামী বাদল এবং তার বন্ধু জনি ডিজিটাল কামালের অফিসে টাইলস লাগানোর কাজ নিয়েছিল। সেই কাজের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল রবিবার সকালে। সে কারণে তিনদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছিল বাদল এবং জনি। গ্রেফতারের সময় তারা কামালের অফিসে কর্মরত ছিল বলেও নিপা দাবি করেন। সেখান থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। কামাল তাদেরকে কর্মচারী দাবি করার পরও পুলিশ বাদল ও জনিকে ছাড়েননি বলেও জানান নিপা।

নিপা আরও বলেন, যখন আমি বাদলের সঙ্গে জেলখানায় দেখা করতে যাই তখন ডিজিটাল কামাল বলেন, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে পলাতক অপর আসামি খায়ের জড়িত এবং খায়েরই আমাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। এর কারণ কি? জানতে চাইলে নিপা বলেন, আগের কোনো শত্রুতার জের ধরে হয়তো খায়ের এই কাজ করে থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে কেন্ট রেঁস্তোরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্য রিপোর্টকে কিছুই বলেননি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি এবং অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিজিটাল কামালের বিরুদ্ধে আরও আটটি মামলা এবং দুইটি জিডি রয়েছে রামপুরা থানায়।

মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, শনিবার গভীর রাতে রামপুরার কুঞ্জবন এলাকার প্রিয়বন কমিউনিটি সেন্টারের পেছন থেকে ওই ১১জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ১৪টি গুলি এবং চারটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনইউডি/এপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৪)