নেতাদের মুক্তি : রাজনীতিতে পরিবর্তনের আভাস!
বিএনপির সিনিয়র ছয় নেতাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রবিবার এ জামিনাদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর আটক বিএনপি নেতারা একের পর এক জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। যে বিএনপি অফিসে কাকপক্ষী ঢোকার সুযোগ ছিল না সেখানে এখন নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মৃত্যু, রাজনৈতিক মামলার আসামিদের পড়ে থাকা লাশ উদ্ধারের ঘটনাগুলো বাদ দিলে দেশে রাজনীতির আবহাওয়ায় এক ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আটক সাধারণ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও মুক্তি পাবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
এটি গেল দেশীয় রাজনৈতিক আবহাওয়ার একটি দিক। ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আংশিক তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই উপজেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে রাজনীতির একটি ‘সামাজিক লেনদেন’ এবং মেরুকরণ ঘটবে। দেশে গত কয়েক মাস যাবৎ যে সামাজিক অস্থিরতা এবং বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তা অনেকটা স্তিমিত হবে বলে আশা করা যায়। তবে প্রধান দুটি পক্ষ যদি এই নির্বাচনকে অতিমাত্রায় রাজনৈতিকভাবে দেখতে চায় তাহলে আমাদের এই আশা বাস্তবতার মুখ নাও দেখতে পারে।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যদি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায় তাহলে আপাততঃ রাজনৈতিক আবহাওয়া পরিবর্তনের যে আভাস দেখা যাচ্ছে তাও মিলিয়ে যেতে সময় লাগবে না।