সোমবার আসছে নতুন মুদ্রানীতি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের (২০১৩-১৪) দ্বিতীয় মেয়াদের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি সোমবার ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেলা ৩টায় ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র মতে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার বিষয়টি বিবেচনা করেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আগামী ছয় মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতির বিভিন্ন কৌশল প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
সূত্র মতে, সব বিষয় বিবেচনা করে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যে মুদ্রানীতি তৈরি হবে, সেখানে চলতি মুদ্রানীতির অবস্থান প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হবে। তবে নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে।
দেশে এরই মধ্যে নতুন সরকার শপথ নিয়ে তার পথচলা শুরু করেছে। পরিকল্পনা কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব বিষয় বিবেচনা করে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যে মুদ্রানীতি তৈরি হবে, সেখানে চলতি মুদ্রানীতির অবস্থান প্রায় অপরিবর্তিত রাখা যেতে পারে। তবে নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ওপর বেশি জোর দেওয়া উচিত।
এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের এক প্রতিবেদনে, মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বেশ কিছু ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে। চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, সাম্প্র্রতিক সময়ের সাধারণ ধর্মঘট এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে এটা বড় হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।
বলা হয়েছে, জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক মুদ্রা বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ মানি, বেসরকারি ও সরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধি প্রভৃতিকে কাজে লাগিয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনই করা উচিত। প্রবৃদ্ধি বেশি হলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা সহনীয় হতে পারে।
মুদ্রানীতির বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের চাহিদা খুব একটা বাড়বে বলে মনে হয় না। কেননা বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করে বিনিয়োগ করেন। এসব বিষয় মাথা রেখে মুদ্রানীতির ধরন আগের মতোই থাকবে বলে ধারণা করা যেতে পারে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/জেএম/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)