দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মোতাহার হোসেনের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে এবার বসুন্ধরা গ্রুপের সহকারী জেনারেল ম্যানেজারসহ (এজিএম-অর্থ ও হিসাব) দুই পেশকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে সোমবার সংশ্লিষ্টদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক হারুনূর রশীদ তাদের তলব করেছেন।

নোটিশে বসুন্ধরা গ্রুপের এজিএম (অর্থ ও হিসাব) এডভোকেট পবিত্র সরকারকে ২৮ জানুয়ারি ও দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর পেশকার আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর পেশকার আরিফুল ইসলামকে ২৯ জানুয়ারি দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। নোটিশের বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চলতি মাসের শুরুতে কমিশনে আসে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের পর ২০ জানুয়ারি তার সম্পদের বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও জারি করে কমিশন। তবে কমিশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইতোমধ্যেই তিনি বিদেশে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র আরও জানায়, মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। লন্ডনে তিনি বাড়ি কিনেছেন। সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে কিনেছেন দু’টি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া তার গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে ৫০ বিঘা জমি কিনেছেন তিনি।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

গত বছরের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ রায় দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। ওই সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এসবি/সা/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)