দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘সত্যকে প্রকাশ করা, আন্দোলন করে সত্যকে চিরন্তন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই হলো বাক স্বাধীনতা। বাক স্বাধীনতা ধ্রুব। কিন্তু না, সর্বক্ষেত্রে বাক স্বাধীনতা ধ্রুব না। কারণ কিছুক্ষেত্রে এটি মানুষের সম্মান হানি কিংবা রাষ্ট্রের সম্মান হানি করতে পারে। সুতরাং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাক স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতার প্রয়োজন রয়েছে।’

এমন বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘৩৯তম ডিএমপি রাইজিং ডে’ যুব বিতর্ক উৎসবের ফাইনাল।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডিএমপি আয়োজিত যুব বিতর্ক উৎসবের ফাইনালে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীম উদ্দীন হল ও নটরডেম কলেজ। চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীম উদ্দীন হলের ডিবেটিং ক্লাব এবং রানারআপ হয় নটরডেম কলেজ গোল্ড ক্লাব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এই বিতর্কের বিষয় ছিল ‘বাক স্বাধীনতা ধ্রুব’। জসীম উদদীন হলের তিন বিতার্কিক হলেন- আবদুল্লাহ আল ইমরান, জাহিদুল ইফতেখার রিফাত, জিহাদ আল মেহেদী। নটরডেম কলেজের বিতার্কিক হিসেবে ছিলেন ওমর রাজ চৌধুরী, মিরাজুল ইসলাম, শোভন।

প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল্লাহ আল ইমরান ও ফাইনাল বিতর্কে সারপ্রাইজ বিতার্কিক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জিহাদ আল মামুন। সারপ্রাইজ পুরস্কার পাওয়া জিহাদ আল মামুনকে ঢাকা টু কক্সবাজার ভ্রমণের টিকিট প্রদান করা হয়।

ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, ‘বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসাধারণ এবং পুলিশের মাঝে সেতু বন্ধন রচনা করা। বিতার্কিকরাই হতে পারে এই সেতু বন্ধন রচনার নির্ধারক।’

প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক আবদুল্লাহ আল ইমরান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।’

সারপ্রাইজ পুরস্কার পাওয়া জিহাদ আল মেহেদী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এটা আমার প্রাপ্য ছিল। তবে এটা পেতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে আমার সহযোগী জাহিদুল ইফতেখার রিফাত। তার দুর্দান্ত শুরু আমার বক্তব্য আরও প্রাণবন্ত করতে সহায়তা করেছে।’

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খালেদা আক্তার রোজি, শান্তনু মজুমদার, ফারহানা মেহতাব, দেবাশীষ কুন্ডু কাকন, সঞ্জীব সাহা, মাহবুব নাসরিন ও বুলবুল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজির আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি নাসরীন আহমাদ।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আসা ৪০টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এমএআর/এনআই/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)