চট্টগ্রাম অফিস : পটিয়া উপজেলার এয়াকুবদণ্ডী এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর আশরাফুল আলম অপু (১৬) নামে এক কিশোরের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বজনদের দাবি, সন্ত্রাসীরা এক কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপুকে অপহরণ করেছিল। মুক্তিপণ না দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা অপুকে অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য অপেক্ষা না করেই তাকে হত্যা করেছে। এতে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।’

এ ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি।

জানা গেছে, আশরাফুল আলম অপু পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকার মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে। সে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ালেখা করত।

জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অপু একটি মেহেদি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ মিলছিল না। এর মধ্যে তার মা পারভিন আক্তারের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করে অপুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায় অজ্ঞাত লোকজন। মুক্তির জন্য এক কোটি টাকা দাবি করে তারা। ২৫ জানুয়ারি এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি জিডি করেন অপুর বাবা।

রবিবার দুপুরে টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে যায় অপুর পরিবারের লোকজন। কিন্তু টাকা নিতে সেখানে কেউ আসেনি। এরপর রাতে অপুর মায়ের মোবাইলে এবং পটিয়া থানার ওসিকে টেলিফোনে অপুর লাশ এয়াকুবদণ্ডী এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মের পেছনে বালির স্তূপের নিচে রাখা আছে বলে জানানো হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে লাশটি পাওয়া যায়।

ওসি মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘লাশটি গলিত অবস্থায় পোকায় খাওয়া। মনে হচ্ছে, চার-পাঁচদিন আগেই তাকে খুন করা হয়েছে। কীভাবে খুন করেছে লাশের শরীর দেখে সেটিও বোঝা যাচ্ছে না।’

ওসি জানান, ২৫ জানুয়ারি জিডি দায়েরের পরই অপুর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা কিছু তথ্য দিয়েছে। শিগগিরই খুনের রহস্য উদঘাটনের আশা প্রকাশ করেন ওসি।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এনডিএস/আরকে/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)