আমাদের ব্যাটিং খারাপ হয়েছে : সাকিব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। ব্যাটিং উইকেট থাকা স্বত্বেও দিনের প্রায় একঘণ্টা আগেই অল আউট হয়েছেন সাকিব-তামিমরা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক-সাকিব। বাকিদের নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। ২৩২ রানে থেমে যাওয়া বাংলাদেশ পক্ষে কোনো সাফাই না গেলে বলেছেন, ‘ওদের ভালো বোলিংয়ের পাশাপাশি আমাদের ব্যাটিংটাও খারাপ হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে; আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিলো। প্রথম একঘণ্টা আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। ৪০ রান হয়ে গিয়েছিলো কোনো উইকেট ছাড়াই। সমস্যা উইকেট নিয়ে; এটা কেউ বলবে না। যারাই এসেছে, কেউই বলেনি মিস হচ্ছে কিংবা খেলতে সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু পিছিয়ে আছি; এখন ম্যাচে ফিরতে বোলারদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
ব্যাটি উইকেট, তবুও ২৩২ রানে অলআউট। প্রথমদিন ব্যাকফুটে থেকে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘দারুণ ব্যাটিং উইকেট। আমি যতক্ষণ ব্যাটিং করেছি আমার কাছে মনে হয়েছে পুরোটা তাই। আসলে আমাদের যা ক্ষমতা রয়েছে আমরা তা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের পক্ষে পৌনে চার শ রান করা সম্ভব ছিলো। তা করতে পারিনি। এখন অনেক পেছনে আছি। এ উইকেটে, উইকেট পাওয়াটা খুব কঠিন। অন্যদিকে রান করাটা খুব সহজ।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই কিছু বাজে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে আম্পায়ার। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন প্রায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। সাকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘রিপ্লাই দেখার পর এমন একটু মনে হয়েছে। সিদ্ধান্তটা আম্পায়ারের, তিনি যেটা মনে করেছেন তা দিয়েছেন। রিপ্লাই দেখার সময় মনে হতে পারে সিদ্ধান্তটা ভুল ছিলো কিন্তু রিয়েল টাইমে সেটা সম্ভব হয় না। এটা নিয়ে মন্তব্য করাটা ঠিক না।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘নাসির শর্ট বলে আউট হয়েছেন ঠিক আছে। তবে মুমিনুলটা শর্ট বল ছিল না। ভেতরে পড়ে তা বাউন্স করেছে। ওরা এটা নিয়ে কাজ করে মাঠে নেমেছে। তবে শর্টবল আমাদের খুব বেশি ভোগায়নি।’
তিনজন পেস বোলার খেলোনো কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছেন, ‘দল সাজানো কোচ, ক্যাপ্টেন, নির্বাচকদের কাজ। তাদের কাছে যা ভালো মনে হয়েছে তাই করেছেন। তবে অনেক সময় সিদ্ধান্ত পক্ষে যেতে পারে; আবার বিপক্ষে যেতে পারে।’
আম্পায়ারিং নিয়ে একটু অসন্তোষ কৌশলে বলার চেষ্টা করেছেন, ‘নাসির এসে বলেছেন বল তাঁর হাতে লেগেছে। তারপরও বলব, এগুলো আম্পায়ারেরই সিদ্ধান্ত। অনেক সময় তাদের খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে হয়। ক্যামেরায় বা টিভি রিপ্লেতে অনেক কিছুই ধরা পড়ে। কিন্তু বাস্তবে ওসব সিদ্ধান্ত খুব কঠিন। আমরা আসলে এ ব্যাপারে মন্তব্য করার জায়গাতেও নেই।’
(দ্য রিপোর্ট/আরআই/এএস/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)