বেনাপোলে ৬ কোটি টাকার কাপড় আটক

বেনাপোল সংবাদদাতা : বন্ডের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ছয় কোটি টাকার কাপড় আটক করেছে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আটক কাপড়ের চালানটি গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. ওমর ফারুক দ্য রিপোর্টকে জানান, গোয়েন্দাদের চোখ এড়াতে পণ্যের চালানটি কৌশলে বন্দর শেডে আনলোড না করে আটদিন ধরে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকটি রাখা হয়। পরে সোমবার বিকেলে শুল্ক গোয়েন্দা ও কাস্টমস কর্মকর্তারা যৌথভাবে চালানটি পরীক্ষা করে ঘোষণাতিরিক্তি ডলার পাচারের অভিযোগের প্রমাণ মেলায় চালানটি আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটক চালানটিতে ওভার ইনভয়েজিং এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ভারতে পাচার করা হয়েছে। বন্ড জালিয়াতির মাধ্যমে এভাবেই কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্র দ্য রিপোর্টকে জানায়, নারায়ণগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাজী এ্যাপারেলস ১৮ জানুয়ারি ভারত থেকে চারটি মেনিফেস্টের মাধ্যমে বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক ট্রাক কাপড় আমদানি করে। যার নাম্বার- ১৯১৮/এ, ১৯২০/বি, ১৯২২/সি, ১৯২৪ /ডি। পণ্যের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ফিসাই এক্সিম ইন্ডিয়া প্রা. লি.।
চালানটি চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখা থেকে গ্রহণ করেছে বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্স। আটদিন ধরে পণ্য চালানটি শেডে আনলোড না করে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়। এরপর পণ্য চালানটি যাতে চলে যেতে না পারে সে জন্য কাস্টমস কমিশনার ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে পত্র দেওয়া হয়।
সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ট্রাক চারটি আটক করে। পরে চালান পরীক্ষা করে দেখা যায় বন্ডের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শতভাগ লেডিস পলেস্টার স্কার্ফ কাপড় আমদানি করা হয়েছে। যা বন্ডের মাধ্যমে আমদানি নিষিদ্ধ। এ ছাড়া ঘোষণাতিরিক্ত ও ওভার ইনভয়েজিং করা হয় চালানটিতে। পণ্য চালানের আমদানি মূল্য তিন লাখ ২৪০ মার্কিন ডলার দেখানো হয়েছে।
পণ্যটির মূল্যসহ শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ ছয় কোটি টাকা বলে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এমএইচও/এমএআর/এনআই/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)