দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা পরিহার করে মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে মঙ্গলবার ‘নির্বাচিত মান পরীক্ষাগারের অনুকূলে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ, প্রশিক্ষিত মান অ্যাসেসরদের মাঝে প্রশিক্ষণ সনদ ও ই-লার্নিং কোর্সে উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রশিক্ষণ সনদ প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

‘পণ্যের গুণগতমানের ওপর দেশের সুনাম নির্ভর করে’ মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, তাই গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন করে রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগানো হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, লাভজনক ও টেকসই শিল্পখাত গড়ে তুলতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের গুণগতমান উন্নত করতে হবে। মানসনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে মান পরীক্ষাগারের সক্ষমতা ও গুণগতমান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।

পরীক্ষাগারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন রফতানি বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

এ ছাড়া বক্তারা দেশীয় পরীক্ষাগার প্রদত্ত সনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে অধিকহারে ল্যাবরেটরির অ্যাক্রেডিটেশন সনদ গ্রহণের ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পানি, লুব্রিকেন্ট, টেক্সটাইল ও মেকানিক্যাল টেস্টিং-এর সঙ্গে জড়িত চারটি ল্যাবরেটরির অনুকূলে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ এবং ৪৯ জন মান অ্যাসেসরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সনদ প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের সহায়তায় এনপিও আয়োজিত ই-লার্নিং কোর্সে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মাঝেও সনদ বিতরণ করেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং ন্যাশনালপ্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজনিস কাপুর, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং ই-লার্নিং কোর্সে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হাবিবা নাসরিন বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, দূরশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ইনস্টিটিউট, ব্যাংক-বীমা, কৃষিপণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, খাদ্য, ওষুধ, সিমেন্ট, সিরামিকস, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৮১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়। এতে জাপানি প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা, স্ট্যান্ডার্ডস, তথ্য নিরাপত্তা, বিপণন ও রফতানি উন্নয়ন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ দেশে গুণগতমানের শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কাজে লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এআই/এসএন/এপি/সা/জানুয়ারি ২৮, ২০১৪)