এনকোচার জোড়া গোলে মুক্তিযোদ্ধার জয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে হেসেখেলে জয় তুলে নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মঙ্গলবার ঢাকার বাইরের দলটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অল-রেডরা। ২টি গোলই করেছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে।
নিজেদের ৬ ম্যাচে ৩ জয়, এক ড্র ও ২ পরাজয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে উঠেছে মুক্তিযোদ্ধা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে খেলে এক জয়, এক ড্র ও ৪ পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানী থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলার বেশির ভাগ সময়ই বলের দখল ছিল মুক্তিযোদ্ধার। ৪ মিনিটেই সুযোগ এসেছিল ফেভারিটদের। বক্সের মধ্যে থেকে এনকোচা কিংসলের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে না এলে তখনই গোল পেতে পারত মুক্তিযোদ্ধা। ২১ মিনিটে সফলতার মুখে দেখেছে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা। প্রতিপক্ষে বিপদ সীমানায় বামপ্রান্ত দিয়ে স্বদেশী ফরোয়ার্ড এলিটার ক্রস মাথা ছুঁইয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়েছেন এনকোচা কিংসলে (১-০)।
বিরতির পর আক্রমণে ধার আরও বাড়িয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার ফুটবলাররা। ৪৬ মিনিটে এলিটা কিংসলের শট পোস্ট ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে না গেলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। ৮৬ মিনিটে দলের পক্ষে ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটিও করেছেন এনকোচা কিংসলে। ডিফেন্ডার রফিকুর রহমানের কাছ থেকে বল পেয়ে কোনো ভুল করেননি এই নাইজেরিয়ান। তার ডান পায়ের শটে পরাস্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক পিয়ারুজ্জামান (২-০)।
চট্টগ্রাম আবাহনীর সহকারী কোচ আবু তাহের সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা প্রতি ম্যাচে হারলেও যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলি। আজও তাই হয়েছে। আমাদের সমস্যা হল গোল স্কোরিংয়ে। গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় জয়ও আসছে না।’
ম্যাচ শেষে মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেছেন, ‘শেখ জামালের কাছে হারের পর রাসেলকে হারিয়ে যে রিদম খুঁজে পেয়েছিলাম, চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে তা বজায় রেখেছি। ছোট দল হলেও ওরা বেশ ভালো লড়াকু দল। কাজেই ওদের বিরুদ্ধে স্কোরলাইন বড় না হলেও ২ গোল নিয়েই আমি সন্তুষ্ট।’
অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক কোচ আবু তাহের সিদ্দিক বলেছেন, ‘ আমরা প্রতি ম্যাচে হারলেও যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলি। এ ম্যাচেও তা হয়েছে। আমাদের সমস্যা হল স্কোরিংয়ে। গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় জয়ও আসছে না।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/আরকে/জানুয়ারি ২৮, ২০১৪)