দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৯তম আসরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরব ভূমিকায় এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তারা।

মাসব্যাপী মেলার ১৮তম দিন এসে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি ঘটেনি। এরমধ্যে আবার অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে সোমবার থেকে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মেলার এ পর্যায়ে এসে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মেলার সম্পূর্ণ এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখা হয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিুরুল ইসলাম জহির।

তিনি জানান, প্রতিটি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে মেশিন রয়েছে। মেলার ১৫০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি এনএসআই, এসবি, সিআইডি সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া ওসি, এসি, ডিসি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি।

সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ব্রাদার্স ফার্নিচারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এমএম ইসলাম বকসী।

তিনি জানান, ছুটির দিন ছাড়া মেলা ফাঁকা থাকায় কোনো কিছু ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান থেকে ২০-২৫ জন সবসময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন বলেও জানান তিনি।

এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে জানান সিঙ্গারের শাখা ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, শুধু তাদের নয়, অন্যসব ব্যবসায়ীকেও উল্লেখ করার মতো কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। আর আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ সহায়তা করছে।

মেলার ভেতরে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান প্রাণের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোস্তফা। এখন পর্যন্ত চাঁদা দাবি বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তারপরেও নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজেরা নিরাপত্তার জন্য লোকবল রেখেছেন বলে জানান তিনি।

অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা না হলেও মেলার প্রবেশ পথে রাতের বেলায় কিছুটা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে বলে জানান গোলাম মোস্তফা। রাতে মালামাল আনতে গিয়ে দলীয় লোকজনের জন্য প্রায় অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ২৮, ২০১৪)