দি রিপোর্ট২৪ ডেস্ক: প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয়টিতে ভালোভাবে জিতেই সমতায় ফিরেছে পাকিস্তান। মুহাম্মদ হাফিজ, সাঈদ আজমল ও শহীদ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে তারা ৬৬ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

মরনে মরকেল ও ম্যাকলারনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। মিসবাহর দল গুটিযে যায় ২০৯ রানে । দুজনে ভাগাভাগি করে ফেরান প্রতিপক্ষের সাতজন ব্যাটসম্যানকে। এজন্য ২০ ওভারে দুজন মিলে খরচ করেছেন ৭২ রান।

আগের ইনিংসে মরকেল ও ম্যাকলারনের বলে জবুথবু হওয়া পাকিস্তানের বোলাররাও ছেড়ে কথা বলেনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সোহেল তানভিরের ইনসুইংয়ের ঝড়ে কলিন ইনগ্রামের উইকেট ভাঙার পর গ্রাহাম স্মিথ এবং জেপি ডুমিনির করা ৭৪ বলে ৩৬ রানের জুটিটা প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে সাহায্য করে। স্মিথের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের বিপরীত প্রান্তে ছিলেন ডুমিনি। ব্যক্তিগত ১০ রানে ইরফানের বলে হাফিজের তালুবন্দী হন তিনি।

আজমলের স্পিন ঘূর্ণিতে বারবার হোঁচট খেয়েছেন প্রোটিয়াস মিডল অর্ডার। ডি ভিলিয়ার্স ও ডু প্লেসিস আজমলের বলে জীবন পাওয়ার পরও ব্যক্তিগত স্কোর লম্বা করতে পারেননি। আাজমল ও ইরফানের ৫.৩ ওভারে আসে মাএ ১৭ রান। ২৩ তম ওভারে আফ্রিদির আক্রমণে আসার পর আবারো ব্যাকফুটে চলে যায় প্রোটিয়ারা।

ওভারের প্রথম বলেই প্লেসিসকে এলবিডাব্লিওর ফাঁদে ফেলেন আফ্রিদি। রিভিউ করলেও ফলাফল শূন্য। পরের ওভারে ডি ভিলিয়ার্স উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর প্রোটিয়াদের অলআউট হওয়া সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। পারনেল এবং ম্যাকলারেন ৩৫ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ইরফানের তিন উইকেট শিকারেও বেশি দূর এগুতে দেয়নি প্রোটিয়াদের। শেষপর‌্যন্ত ১৪৩ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

স্কোর:

পাকিস্তান: ২০৯ (শেহজাদ ৫৮, হাফিজ ২৬, আফ্রিদি ২৬; ম্যাকলারেন ৪/৩৫)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৪৩ (ম্যাকলারেন ২৯*, ডুমিনি ২৫ ; আফ্রিদি ৩/২৬)

ফল: ৬৬ রানে জয়ী পাকিস্তান

ম্যাচ সেরা: শহীদ আফ্রিদি

(দিরিপোর্ট২৪/এমআই/নভেম্বর ০২, ২০১৩)