দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অমর একুশে বইমেলা-২০১৪ স্টল বরাদ্দে লটারির ফল প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি।

প্রকাশকদের উপস্থিতিতে মেলার প্রস্তুতির শেষ মূহুর্তে মঙ্গলবার বাংলা একাডেমি এলাকাসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্টল বরাদ্দের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

লটারি শেষে প্রকাশকদের মাঝে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেলেও প্রথমবারের মতো মেলার পরিসর বাড়ানোয় অনেকেই আবার হতাশা প্রকাশ করেছেন।

জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি দ্য রিপোর্টকে বলেন, কাঙ্খিত জায়গায় দোকান না পাওয়ায় আবার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। তবে পাঠকদের ইতিবাচকতাই সকল হতাশার সমাধান করতে পারে বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘২০১৩ সালের বইমেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার পরিসর বাড়িয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল বরাদ্দের কথা বলেছিলেন। তার সে আকাঙ্খাকে শ্রদ্ধা জানিয়েই এবার মেলার পরিসর বাড়িয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর‌্যন্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া বাংলা একাডেমির অভ্যন্তরে একাডেমির বিক্রয় কেন্দ্রের পুরনো স্থাপনাটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ করায় ভিতরে জায়গার অভাব ও মেলার পরিসর বাড়ানোর ব্যাপারে প্রকাশকদের দীর্ঘ দিনের যে দাবি ছিল, সেটিও এবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

মেলার নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। এবার যেহেতু দুই জায়গায় মেলার স্টল থাকছে, তাই তারা জানিয়েছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও একাডেমির অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে পর‌্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স থাকবে। পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি একাডেমির নিজস্ব একটি পর্যবেক্ষক দলও নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান শামসুজ্জামান।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ১৯৯টি প্রকাশনীর স্টল স্থান পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১১টি প্রকাশনীকে দেওয়া হয়েছে চার ইউনিটের স্টল, ৪৩টি প্রকাশনীকে ৩ ইউনিটের, ৯০টি প্রকাশনীকে ডাবল ইউনিটের ও সিঙ্গেল ইউনিটের স্টল পেয়েছে ৯৫টি প্রকাশনী। বাংলা একাডেমির ভিতরে সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক ও মিডিয়ার স্টলগুলো থাকবে। প্রতিবছরের মতো বর্ধমান হাউসের পেছনে ৫৩টি লিটলম্যাগ স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সকল প্রকাশকের স্টল থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ইতোমধ্যে সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও বিক্রেতা সমিতির ২৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৪১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য বারের মতো এবারও শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাংকন, সাধারণ জ্ঞান, উপস্থিত বক্তৃতা ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন রয়েছে। আগ্রহীদের অংশগ্রহণের জন্য বাংলা একাডেমি থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এসএ/এসবি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)