গাজীপুর সংবাদদাতা : ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছেন গাজীপুর জেলা শহরের নারীরা। রাত কিংবা ভোর সব সময়ই ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট নারী।

সাধারণত রিকশার গতিরোধ করে ঘটে এ সব ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইয়ের জন্য তারা ব্যবহার করে মোটরসাইকেল। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়-বাসভবনের সামনের রাস্তায় বেশি ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইকারীরা এত বেপরোয়া যে প্রকাশ্যেই ঘটছে এ সব ছিনতাইয়ের ঘটনা।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিপরীতে কস্তুরী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়  ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইকারীরা রিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জেসমিন আক্তার ও ফেরদৌসী বেগম নামে দুই নারীর কাছ থেকে তিন হাজার টাকাসহ একটি ব্যাগ, একটি মোবাইল ও একটি সোনার চেন নিয়ে যায়।

একই কায়দায় আরও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এ দিকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছিনতাইকারীরা নম্বর প্লেটবিহীন মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। তাই তাদের শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়-বাসভবনের সামনে প্রায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় কিছু দিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ চার ছিনতাইকারীকে আটক করে। এরপরও থেমে নেই ছিনতাই।

এ ব্যাপারে গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার ছিনতাইয়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ দিকে নম্বর প্লেটবিহীন মোটরসাইকেলের ব্যাপারে গাজীপুর টাউন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) সাইদুর রহমান জানান, নম্বর প্লেটবিহীন মোটর সাইকেল আটক করলে নেতাদের ফোনের কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

(দ্য রিপোর্ট/এমএফ/কেএন/এমসি/এএল/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)