দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভোট শুরুর আগেই নৌকা মার্কায় সিল মারার অভিযোগে চট্টগ্রাম ও মাদারিপুরের মোট চারটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করার খবর পাওয়া গেছে।

দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ডেস্ক রিপোর্ট :

চট্টগ্রাম

পৌর নির্বাচনে ভোট শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যেই চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্র দুটিতে বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর পরই নৌকা মার্কায় সিল মারার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

রিটার্নিং অফিসার সানজিদা শারমীন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ভোট শুরুর পর পরই কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে নৌকা মার্কায় সিল মারার অভিযোগ পেয়ে সেখানে যাই। অভিযোগের সত্যতা মেলায় কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

মাদারীপুর

জেলার কালকিনি পৌরসভায় নৌকা মার্কায় সিল দেওয়া ভরা ব্যালট বাক্স পাওয়ায় দুটি ভোটকেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

৬নং ওয়ার্ডে ৮২২ ভোট ও ৮নং ওয়ার্ডে নৌকা মার্কার ৫০৩ ভোট গতকাল রাতে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্সে ভরা হয়। এরই পরিপেক্ষিতে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে এই দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

কালকিনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জনারদন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. আসাদুজ্জামান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত ১২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত জোর করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল দেয়। বিষয়টি রাতেই রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ম্যাজিস্ট্রেককে জানালে বুধবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এসব ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশে বিপুলসংখ্যক বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ আনসার সদস্যের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।

এদিকে বাকি ভোটকেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করতে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

এই পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন লড়ছেন। এখানে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৭১১ জন এবং মোট ভোটকেন্দ্র ১৭টি।

(দ্য রিপোর্ট/এএসটি/এজেড/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫)