চট্টগ্রাম অফিস : ব্যাপক অনিয়মসহ কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও সন্দ্বীপ পৌর সভার নির্বাচন স্থগিত দাবি করে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।

রাঙ্গুনিয়ার মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন খান, রাউজানের মেয়র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল হাসান ও সন্দ্বীপের প্রার্থী বিএনপি নেতা আজমত উল্লাহ বাহাদুর এ দাবি করেন।

একই অভিযোগে সাতকানিয়ায় নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম। বুধবার দুপুরে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সাতকানিয়ায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী হাজী রফিকুল আলম বলে, ‘সাতকানিয়া কলেজ কেন্দ্রে এক বিএনপিকর্মীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারদলীয় প্রার্থী। তারা কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর মনোনীত এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। সব কেন্দ্র দখলে জাল ভোট দিচ্ছে। এভাবে নির্বাচন হতে পারে না। তাই বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করছে।’

এদিকে রাঙ্গুনিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসার মোঃ মহসিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ‘সকাল ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা। ভোটারদের ভোট দিতে না দিয়ে বহিরাগতদের দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়ার’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। সুতরাং নির্বাচন স্থগিত করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি করছি।’

রাউজানের মেয়র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল হাসান জানান, ‘গত রাত থেকে রাউজানের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সকালে ভোট শুরুর সাথে সাথে এ সব কেন্দ্রে জোর করে জাল ভোট প্রধান এবং আমার কোনো এজেন্ট প্রবেশ করতে দেয়নি। এ অবস্থা কীভাবে নির্বাচন করব। আমার ৫৮ বছরে বয়সে অনেক নির্বাচন আমি করেছি। এ ধরনের অরাজকতা আর দেখিনি। তাই আমি পৌরসভার ১৯টি কেন্দ্রে নতুন করে নির্বাচন দাবি করছি।’

সন্দ্বীপ পৌরসভার ভোট স্থগিত করার দাবি জানিয়ে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ বাহাদুর টেলিফোনে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘সকাল থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে। তারা জাল ভোট দিচ্ছে। এভাবে নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমি এ নির্বাচন বর্জন করেছি। নির্বাচন বাতিল করে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানাচ্ছি।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এসআর/সা/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫)