চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা চেকপোস্টে অবস্থিত বিজিবি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফ’র ব্যাটালিয়ন কমান্ড পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানায় তারা।

বুধবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম মনিরুজ্জামান এবং ভারতের পক্ষে নদীয়া জেলার সীমানগর- ১৭৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ কে শর্মা।

বৈঠক শেষে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে নিরপরাধ ও নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যার ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ এবং ওই হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিএসএফকে জানানো হয়েছে।

বিএসএফ’র পক্ষ থেকে এ সময় জানানো হয়, মানুষ হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ গরু চোরাচালান। এ সব হত্যাকাণ্ড যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

বিজিবি পরিচালক বলেন, অতীতের চেয়ে সীমান্তে মানুষ হত্যা অনেকটা কমে এসেছে। এ সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে আরও সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও সীমান্তে কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড যাতে না ঘটে সে জন্য বিএসএফ সর্বাত্মক সচেষ্ট থাকবে বলে পতাকা বৈঠকে জানানো হয়।

পতাকা বৈঠকে উভয় দেশের ১৮ জন করে প্রতিনিধি অংশ নেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তারা হলেন- বিজিবির লে. কর্নেল ইমারত হোসেন, মেজর নুরুল হক, ক্যাপ্টেন মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক সোহরাব উদ্দীন এবং ভারতের পক্ষে বিএসএফ’র ১১৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিরেন্দ্র দত্ত, ১১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিজয় কুমারসহ ১৮ জন।

(দ্য রিপোর্ট/আরআর/এমএআর/সা/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)