বিবিসির সংলাপে তোফায়েল-মোশাররফ
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে অনিশ্চয়তা ও অশান্তির আশঙ্কা
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান দুই দলের অনড় অবস্থার কারণে দেশে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মনে করেন দেশে একতরফা নির্বাচন হলে দেশ অশান্তির দিকে যাবে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলা ও বিবিসি অ্যাকশন মিডিয়ার যৌথ আয়োজনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে এমন মন্তব্য করেন প্রধান দুই দলের দুই শীর্ষ নেতা।
‘নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর অনড় অবস্থান। টানা হরতাল। বাংলাদেশ কোন দিকে যাচ্ছে?’ দর্শক প্যানেলের এমন এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তারা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যে মুহূর্তে নির্বাচন কাছাকাছি চলে এসেছে সে মুহূর্তে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দুই জোটের ঐক্যমতে পৌঁছানো উচিত। সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের প্রস্তাব বিরোধী দলকে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ আমন্ত্রণ এখনও রয়েছে। শুধু বিরোধীদলীয় নেত্রী চাইলে সংলাপ সম্ভব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের সব মানুষ আজ উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত এবং দেশ একটি সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে এ সংকট সৃষ্টি করেছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী আলাদাভাবে দুইটি প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি স্বার্থের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী জনগণের স্বার্থে প্রস্তাব দিয়েছেন।’
সংলাপের অপর প্যানেলিস্ট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিসের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দুই দলের অনড় অবস্থার জন্য দেশ অস্থিতিশীল, সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দল অচিরে সংলাপে বসে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে দেশে দীর্ঘ মেয়াদি সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে। সংঘাত এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়বে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংঘাত সৃষ্টির কোনো যৌক্তিকতা নেই। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্ভব হলে কেন ষষ্ঠদশ সংশোধন করা সম্ভব নয়?’
সংলাপে আরেক প্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম।
বিবিসি বাংলার করেসপন্ডেন্ট ওয়ালিউর রহমান মিরাজের প্রযোজনায় সংলাপটি সঞ্চালনা করেন অপর করেসপন্ডেন্ট আকবর হোসেন।
(দিরিপোর্ট২৪/আরএইচ/এনডিএস/এমডি/নভেম্বর ০২,২০১৩)