বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় নেত্রী মাম্যাচিংসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাজারে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

বান্দরবান বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বুধবার বিকেলে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও অবৈধ সংসদ অধিবেশন বাতিলের দাবিতে বুধবার বিকেলে বান্দরবান বাজারের পৌর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক মাম্যাচিংয়ের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল এবং বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা শহরে কালোপতাকা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় ট্রাফিক মোড় চত্বরে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ।

পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক মাম্যাচিং, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ বেলাল, আব্দুর রশীদ, মহিলা নেত্রী সাইচিং মারমাসহ বিএনপি ও পুলিশের প্রায় ১৫ জন আহত হন।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. বেলালকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। পরে বাজারের পৌর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী মাম্যাচিংয়ের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবদল সভাপতি মশিউর রহমান মিঠুন, সাধারণ সম্পাদক নেজাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুছ ছুবুর, মহিলা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক উম্মে কুলসুম লীনা, পৌর শাখা যুবদলের সভাপতি আইয়ুব খান, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার বাবলুসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে, পুলিশি বাধায় জেলার দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরীর সভাপতিত্বে বিএনপির অপর অংশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ দ্য রিপোর্টকে জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের কোনো সদস্য আহত হয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এমএআর/সা/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)