দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিপিজিএমইএ) পদাধিকার বলে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (শিল্প) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিন। শিল্প মন্ত্রলাণয়ে বুধবার বিকেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাবেক সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিন ও মো. ইউসুফ আশরাফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক কেএম ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে তারা প্লাস্টিক শিল্পখাতে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে ১০টি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এ সব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- এ খাতের উদ্যোক্তাদের ১২ শতাংশ হারে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, ২০১৩ অক্টোবর থেকে ১৪ জানুয়ারি যে সব ঋণ শ্রেণীভুক্ত হয়েছে তা শ্রেণীভুক্ত না করে এক বছর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি, আগামী দুই বছর শূন্য মার্জিনে এলসি খোলার সুবিধা প্রদান, দুই বছর পর্যন্ত ঋণ শ্রেণীকৃত না করা। ব্যবসা ও উৎপাদনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শুল্ক কর ও ভ্যাট যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা, অবরোধকালীন ৪ মাসের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ, সব ধরনের বকেয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের হয়রানি না করা। এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ অব্যাহত রাখার স্বার্থে ১৫ ও ১০ বছর মেয়াদি পুনর্তফসিল সুবিধা দেওয়া এবং রফতানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ ছাড়াও একটি আধুনিক পরিকল্পিত প্লাস্টিক শিল্প নগরী প্রকল্প গত ৮ বছর ধরে ঝুলে আছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা চান তারা।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু রফতানিমুখী দেশীয় শিল্প খাত হিসেবে প্লাস্টিক শিল্পের প্রসারে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এআই/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)