দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অনেক দিন পর ইনিংস হারের শঙ্কা দেখা দিচ্ছে বাংলাদেশের। গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করছিল মুশফিকরা। কিন্তু ঘরের মাটিতে ঢাকা টেস্টে শ্রীলঙ্কার দেওয়া বিশাল রানের চাপে পড়ে আছে টাইগাররা। এ চাপে তামিম ফিরে গেছেন দায়িত্বহীন শট খেলে। তারপরও আত্মবিশ্বাসী সোহাগ গাজী। আরও দু’দিন ব্যাটিং করে ড্রয়ের স্বপ্ন তার চোখে।

মুখে হয়ত বলেছেন কিন্তু বিশ্বাস করেন কিনা বোঝা গেল না। তারপরও দৃঢ়কণ্ঠেই বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকবে বাকি দুই দিন প্রচুর বল খেলা। বাকি দুই দিন বাংলাদেশের লক্ষ্য কি হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আমি চেষ্টা করব আমার সেরাটা দেওয়ার। আমি আগে ৬০ বল খেলে হয়ত ৩০ রান করতাম। কাল আমার লক্ষ্য থাকবে ১০০ বল খেলে ১০ রান করা। আমাদের সবারই লক্ষ্য থাকবে যতবেশি বল খেলে সময় নষ্ট করে ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

টানা দুই দিন বাংলাদেশী বোলাররা একের পর এক বল করে গেছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু সফল হতে পারেননি। অধিনায়ক মুশফিক একে একে ৯ বোলারকে দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু কেউ অতিথি ব্যাটসম্যানদের মেরুদণ্ড ভাঙতে পারেননি। দুই দিন চেষ্টা করে ৬ উইকেট ফেলতে পেরেছে টাইগাররা। বোলিং আক্রমণেও ৩ পেসার নেওয়া হয়েছে। তাদের সারাদিনের চেষ্টায় উইকেট পড়েছে একটি। আল-আমিন অনেক চেষ্টা করে কুমারা সাঙ্গাকারাকে ফেরালেন। ৩ পেসার খেলানোর যৌক্তিকতা কি ঠিক ছিলো, সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের উত্তরে সোহাগ গাজী বলেছেন, ‘আমাদের পেসাররা চেষ্টা করেছে ভালো বল করার। ভালো বল হয়েছে কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না বলে উইকেট পাওয়া পায়নি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করার সময় হয়ত তাদের পেসাররা সুবিধা পেয়েছে। আমি বলব আমাদের পেসাররাও ভালো বল করেছে। কিন্তু ভাগ্যের সহায়তা ছাড়া উইকেট পাওয়া যায় না।’ সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে সোহাগ গাজী বলেছেন, ‘উইকেট তো ঠিকই ছিল। আমরা খারাপ বল করেছি তাও নয়। ওরা ভালো ব্যাটিং করছে বলেই ওদের স্কোর এত বড় হয়েছে। ওরা এত সুন্দর ব্যাটিং করেছে। আমাদের কোনো সুযোগও দেয়নি।’

বোলিংয়ের ফোকাস সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ভালো বোলিং বলতে ব্যাটসম্যানদের কিছু ডট বল দেওয়া, যাতে করে রান না পেয়ে তারা ভুল করতে পারে। তাদের ওই ভুলেই বোলাররা উইকেট তুলে নেয়।’

খুব কষ্ট করে সারাদিন বোলিং করেছেন, কিন্তু উইকেট পেলেন না। যখন দেখলেন আপনাদের ব্যাটসম্যান রঙ্গনা হেরাথকে সহজেই উইকেট বিলিয়ে দেয় আপনার খারাপ লাগেনি-এমন প্রশ্নের জবাবে পটুয়াখালীর ছেলে সোহাগ বলেছেন, ‘তামিম ভাই বড় বড় ইনিংস খেলেছেন। অনেক বছর ধরে টেস্ট খেলছেন, অনেক অভিজ্ঞ। ওই বলটাতে হয়ত মিসটেক হয়ে গেছে।’ আউট হওয়ার পর তামিমের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘যে কোন ব্যাটসম্যান যে কোন সময় আউট হওয়ার পর তার খারাপ লাগে। নিশ্চয়ই তারও খারাপ লেগেছে।’

বাংলাদেশকে রানের পাহাড়ের নিচে ফেলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে মাহেলা জয়বর্ধনের ইনিংস। তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহাগ বলেছেন, ‘ও ভালো খেলেছে। সারাদিন ব্যাটিং করে মাত্র দু’বার জীবন পেয়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যনদের অবশ্যই ওর কাছ থেকে শেখার আছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরআই/ওআইসি/ এনআই/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)